Sunday, March 1, 2015

আল্লাহ আপনার ভবিষ্যৎ সন্তান কি দিবেন।

ফকির উয়ায়ছী:

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন সূরা আম্বিয়ার ২১:৭# “আপনার পূর্বে আমি মানুষই প্রেরণ করেছি, যাদের কাছে আমি ওহী পাঠাতাম। অতএব তোমরা যদি না জান তবে জ্ঞানীদের কাছে জিজ্ঞেস কর”।
এই আয়াতটি যে শুধু নবীদের জন্য প্রযোজ্য তা আল্লাহ বলেন নাই। এমনকি নির্ধারিত কোন একটি বিষয়ের উপর ভীত্তি করেও বলেন নাই। উক্ত আয়াতটি সমস্ত মানব জাতী প্রত্যেকের জন্য এবং প্রত্যেক বিষয়ের জন্য বলেছেন মনে করি কিয়াতম পর্যন্তই তা প্রযোজ্য।

কিছু কিছু মানুষ বলেন কোরআন আছে কারও কাছেই যাওয়ার দরকার নাই। কোরআন হাদিসে সবই আছে। কিন্তু আল্লাহ যে বলেন আল্লাহর নৈকট্য পাওয়ার জন্য উসিলা তালাশ করতে। এই উসিলা কি জড় কোন বস্তু হতে পারে? মোটেই তা পারে না। জানতে হলে যে জাননে ওয়ালা লোকের কাছে যেতে হবে তার বিকল্প নাই। চিন্তা করার অনুরোধ করবো কোন কাজটা উসিলা ব্যতীত হয়? আল্লাহর দুনিয়ায় এমন কোন কাজ নাই সেটার জন্য উসিলা লাগে না। তাহলে মহান সৃষ্টিকর্তাকে উসিলা ব্যতীত পাওয়ার আশা যারা করেন তারা নেহায়েত অলিক কল্পনার অধিকারী। আর অলিক কল্পনা যে সত্য হয় না সেটা কোরআনে আল্লাহ নিজেই বলে দিয়েছেন পবিত্র কোরআনে।
নিম্নে দুটি আয়াত নিয়ে আলোচনা করবো।

৪২:৪৯# “নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব আল্লাহ তা’আল্লারই। তিনি যা ইচ্ছা, সৃষ্টি করেন, যাকে ইচ্ছা কন্যা-সন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন”

৪২:৫০# “অথবা তাদেরকে দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন। নিশ্চয় তিনি সর্বজ্ঞ, ক্ষমতাশীল”

আল্লাহ পবিত্র কোরআনে এই আয়াত নাজিল করেছেন। এতে যারা কোন রকম সন্দেহ করবেন তাতে আল্লাহর সাথে মত বিরোধ করা হবে। তবে আল্লাহ কখন কাকে কি সন্তান দান করবেন সেটা তিঁনিই জানেন।

কিছুদিন আগে ওন লাইন মোটামুটি অনেক পেপারেই লিখেছেন ডাক্তারি শাস্ত্র দিয়ে কিভাবে কি করলে ছেলে সন্তান হবে কিভাবে কি করলে মেয়ে সন্তান হবে। বাস্তবিক আপনার আশেপাশে খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন অনেক ডাক্তার সাহেবগনই এই অশান্তিতে ভুগছেন। নাম না প্রকাশ করেই বলছি ঢাকা শহরের এক সুনামধন্য বেশ পরিচিত ডাক্তার আছেন তিনার ৬ মেয়ে এক ছেলে আমার জানামতে। তাহলে কন্যা সন্তান ছেলে সন্তান হওয়ার অধ্যায়টি বোধহয় আমার পরিচিত ডাক্তার ভাইটি এড়িয়ে গেছেন বা পড়তে ভুলে গেছেন।
আল্লাহ কোরআনে বলেছেন আমি তোমাদের (মানুষকে) সৃষ্টি করেছি ৮৬:৬# “সে সৃজিত হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি থেকে”। অর্থাৎ- বীর্য থেকে। তা আপনারা সকলেই জানেন। এই কয়েকদিন আগে দেখলাম পেপার পত্রিকাতে ভারতের এক পন্ডিত প্রভু রামদেভ তৈল ব্যবসা শুরু করেছেন ধর্মভীরু বিশ্বাসীদের কাছে। এই তেল দোকানে দোকানে বিক্রি হচ্ছে। সে তেল ব্যবহারে নাকি ছেলে সন্তান হবে! তেল কি বীর্য বানাবে ছেলে সন্তানের জন্য? তবে তো ভারতের হরিয়ানা প্রদেশের জন্য অন্য রকম তেল বানাতে হবে। যাতে করে মেয়ে জন্ম হয়। মিডিয়ার বদলতে জানা যায় হরিয়ানাতে এখনো মেয়ে খরিদ করে বাবা ছেলে একই মেয়ে ভোগ করে। এই সভ্য সমাজেও এত নোংড়ামী মানুষ করে হরিয়ানার দিকে নজর করলে আশ্চর্যই লাগে। এই ব্যপারে প্রভু দেবের দ্বিতীয় তেল আবিষ্কারের চিন্তা করতে হবে অচিরেই।

একটা কথা বিশ্বাস করতেই হবে যে সন্তান দাতা আল্লাহ এবং সন্তানের সৃষ্টি হওয়ার মূল উপাদান বীর্য সেটা আল্লাহ যার যার মেরুদন্ড থেকে নির্গত করেন তাই বলেছেন কোরআনে।


এই নির্গত বীর্যের ব্যবহার বিধি যারা জানেন তাদের কাছে গেলে জানা যায় কিভাবে ছেলে সন্তান পাওয়া যায়; এমনকি কিভাবে মেয়ে সন্তান পাওয়া যায়। আল্লাহর অসংখ্য গুন বাচক নাম আছে এবং প্রত্যেকটি নামের আলাদা আলাদা মাহত্য আছে। সেসব নামগুলির মধ্যে থেকে আল্লাহকে নিদৃষ্ট নামে ডেকে নিজেদের মন বাসনা পূর্ণ করা যায়। যদি সঠিকটা জেনে আল্লাহর কাছে আরজি জানানো যায় আল্লাহ তাতে সন্তুষ্ট হয়ে অবশ্যই মন বাসনা পূর্ণ করে দিবেন। আল্লাহর একটি নাম আছে রাজ্জাক আমরা রিজিকের আশায় এই নাম জপন করি। একটি নাম আছে ‘কাহহারু’ অর্থাৎ মহাশাস্তিদাতা এই নামে তো কেউ আল্লাহকে ডাকে না রহমত বা শান্তি পাবার আশায়। এ কথাটাই বুঝাতে চাচ্ছি যে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য সঠিক নামে ডাকতে হবে। আর এই ডাক অনেক পির ফকিরগন জানেন তাতে ফলও লাভ হয় আল্লাহ দেনও ফকিরদের উসিলায়। তাতে ফকির বা পির সাহেবদের কোন কৃতিত্ত নাই। শুধু মাত্র সে ডাকটি ডাকতে শিখানোর উসিলা মাত্র। কাজেই আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে আল্লাহর কাছে কারো উসিলা দিয়েই চেয়ে নিয়ে মন বাসনা পূর্ণ করা যাবে। আর আল্লাহও কোরআনে বলেছেন তুমি যে ব্যপারে জাননা; যে জানে তার কাছে যাও। এই কথায় নির্ধারিত কোন একটা বিষয়ের ব্যপারে আল্লাহ বলেন নাই বলেই আমার বিশ্বাস।

জ্ঞান-ই- বড়

ফকির উয়ায়ছী

নছবী আর হছবী বড় ছোট নয়
তালিমেতে পূর্ন যে সেই বড় হয়
নছবী না পাও যদি সঠিক খুজিয়া
হছবীর বাড়ির রাস্তা লও বিচারিয়া
না বুঝিয়া পীর যদি ধর দুনিয়াতে
হইবে ঠিকানা তোমার দোজকেতে
জাহেলের হাতে যদি দাও তুমি হাত
কাফেরের মউত তুমি পাইবে নির্ঘাত
পীর কামেল কিনা? লও যাচাই করিয়া
পাইবে সুখ তুমি জনম ভরিয়া
নছবীর গুরুর নিয়া তুমি থাক বসিয়া
আলবত যাইবে তুমি ধ্বংশ হইয়া
ফকির উয়ায়ছী কয় সময় থাকিতে।
সঠিক খুজিয়া লও তুমি নিজ্ব জ্ঞানেতে।।

Saturday, February 28, 2015

বোবা কানার হাট

ফকির উয়ায়ছী:
বোবার হাটে বলছি কথা
শুনার কেহ নাই
বাক দিয়েছেন আল্লাহ আমায়
তাই দয়াময়ে শুকরিয়া জানাই।
অন্ধের সামনে ধরেছি সহিহ
দেখার নাই কারো আখি।
দেখাইছেন তিঁনি দেখেছি আমি
বলছি তাই আপনাদের সভায়।
বিবেক মইরাছে যার
কেমন পারমু বুঝাইবার
বৃথা চেষ্টা আমি কইরা
হইতেছি যে দিশাহারা।
ফকির উয়ায়ছী চিল্লায় কয়
আল্লার সৃষ্টির কৃতজ্ঞতা হয় ।।।

এন বি:- আল্লাহ আমাকে দুনিয়ায় সৃষ্টি করেছেন নিশ্চয়ই তাঁর কোন উদ্দেশ্য আছে। তাই চিৎকার করে তিঁনার কিছু কথা বলে কৃতজ্ঞ হই। না হয় যে অকৃতজ্ঞ প্রানী বোবা জন্তুই রয়ে যাবো

Friday, February 27, 2015

আমার প্রার্থনা আল্লাহর দরবারে।

আজ অফিসে আসার পথে বাসে বসে মনটা খুব খারাপ হচ্ছিল। মনের মধ্যে এই কথাগুলি হচ্ছিল। শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে। যদি আপনাদের ভাল লাগে আল্লাহর কাছে হাত ইঠিয়ে আরজ করবেন। আমি এখনই আরজ করে রাখছি নামাযে সময় যদি অশরীরি জবীটি ভুলিয়ে দেয়।
আল্লাহ তুমি স্বহস্তে আদম (আমাদের)কে বানিয়েছ সেটা তুমি গর্ভ করেই তোমার কিতাবে বলেছো। তবে কেন তুমি আমাদের অধিকাংশ দিয়ে জাহা্ন্নাম পূর্ণ করবে? সেটাও কোরআনে বলে দিয়েছো। এমননি হাদিসে রাছুল সা. বলেছেন প্রতি হাজারে ৯৯৯ জনই জাহান্নামে যাবে। হায় আল্লাহ তোমার এত সাধের সৃষ্টিদের কেন আগুনে পুড়াবে? কেন তুমি আমাদের চোখ খুলে দাও না? যাতে আমরা জাহান্নামীদের অনুসরনকৃত পথের দিকে না যাই। হে আল্লাহ আমার আরজ; তোমার হুকুম রাছুলকে অনুসরন এবং রাছুলের হুমুক আহলে বায়তের অনুসরন; যেন সঠিক ভাবে করে যেতে পারি। বেহেস্তের আশা করবো না এমনকি দোযখে যাওয়ার কাজও করবো না। আশা শুধু তোমাকে পাবার। তুমি কোথায় মিলবে সেটা তোমার উপরই রইল।

------------------------------------------ফকির উয়ায়ছী

Thursday, February 26, 2015

ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের সাথে হালাল হারাম সম্পূর্ণরূপে জরিত


প্রয়োজনে
0196 356 4505
ফকির উয়ায়ছী:

হালাল হারাম এই শব্দ দুটি মুসলমানদের খুবই পরিচিত শব্দ সকলেরই জানা। কিন্তু এই শব্দ ব্যবহার হয় শুধু মুখে মুখেই শুনা যায়। অবশ্য আমার দেশের বাইরে বিভিন্ন দ্রব্যের গায়ে লেখা থাকে ১০০% হালাল। তা দেখে মুসলমান মানুষ বুঝতে পারে এটা হালাল। যদি আমার সংস্কারের সুযোগ থাকতো আমি লেখতে চেষ্টা করতাম “হালাল টাকায় কিনুন”।
ইসলামের ৫টি স্তম্ভের মধ্যে কলেমা ছাড়া বাকী চারটিতে ভেজাল দিয়ে পরিপূর্ণ হয়ে আছে অধিকাংশ মানুষের। আমার কথা হয়তো ভাল লাগছে না পুরো লেখাটি পড়লে দ্বিমত করার কতটুকু সুযোগ পান সেটাই দেখার বিষয়।

১ নং কলেমা: কলেমা সম্পর্কে মানুষ বুঝে না বুঝে পড়ে যাচ্ছে কোন ভেজাল করতে পারছেন না। আর যারা বুঝে পড়ছেন ইয়াকীনের সাথে রাসূল সা. যেভাবে বলেছেন সেভাবে বুঝে নিলে তো তার জন্য জান্নাতের সু-সংবাদ রয়েছেই আল্লাহর পক্ষ থেকে। রাসূল সা. বলেছেন “মান কানা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাছুলুল্লাহ ইয়াকীনান ফাদাকাল্লাল জান্নাতা” অর্থাৎ যে ব্যক্তি একবার ইয়াকীন (বিশ্বাস) এর সহিত কলেমা পাঠ করবে তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দিতে।

২ নং নামায: আমরা নামাযে যখন দাড়াই আমাদের মাথায় নানান চিন্তা এসে ভর করে এমনকি যখন ৭০গুন সোয়াবের আশায় মসজিদে যাই তখনও একাগ্রতার সাথে নামায আদায় করতে পারি কয়জনে। ঘরে যারা পরছি তাদেরকে তো কিছুই বলার নাই। কিন্তু মসজিদে যারা আসছেন তাদের তো সতর্ক করার দ্বায়ীত্ত্ব বিজ্ঞ আলেমগন নিতেই পারেন। তা তো করতে দেখি না। আমি যদি সংস্কারের সুযোগ পেতাম সমজিদের গেটে লিখে দিতাম অবৈধ পথে অর্থ উপার্জনকারী মসজিদে ঢুকা নিষেধ। এই কথা লিখলে ইমাম মিলানো কঠিন হবে। কিন্তু যে কয়জনই লোক মসজিদে ঢুকার যোগ্যতা থাকবে তাদের মধ্য থেকেই একজন ইমামতি করলে সেটা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশী। কাজেই কোন সংস্কারকের মাথায় কবে এটা আসবে এই অপেক্ষায় থাকা ছাড়া বিকল্প নাই আমি নাদানের কথা শুনবে কে?

৩ নং রোযা: রাসূল সা. হাদিস অনুযায়ী যে ছয়টি জিনিষ ত্যাগ করার কথা তা যদি শুধু এক মাস ধরে রাখার জন্য করা হয়। সেটা অনাহারী বা উপোশ থাকা ব্যতীত কিছুই নয়। সাড়া জীবনের জন্য কুচিন্তা এবং কুকর্ম হইতে নিজকে বিরত রাখতে হবে। পঞ্চ ইন্দ্রিয়কে নিয়ন্ত্রন করে অবৈধ কাজ থেকে বিরত রাখতে পারলে রোযার স্বার্থকতা আসবে। ক)যেমন চুক্ষ দ্বারা অবৈধ কিছু দেখবোনা। খ)কান দ্বারা অবৈধ কিছু শুনবো না। গ)নাক দ্বারা অবৈধ ঘ্রান গ্রহন করবো না। ঘ)জিবহা দ্বারা অবৈধ স্বাধ গ্রহন করবোনা এবং অবৈধ কথা বলবো না। ঙ)হাত দ্বারা অবৈধ জিনিষ ধরবোনা এবং চ)অবৈধ চিন্তা চেতনা করবোনা। তাহলেই রোযার পরিপূর্ণতা আসবে। সংস্কারের সুবিধা থাকলে বলার ইচ্ছা রাখি অবৈধ উপার্জনের অর্থ ঘর পরিবারে ব্যবহার হলে রোযা রাখা নিষেধ।

৪ নং যাকাত: যাকাত শব্দের সাথে আর্থিক সম্পর্ক কোরআনে বুঝা যায় না। কারণ যাকাত শব্দের অর্থ পাওয়া যায় পবিত্রতা। একটি আয়াত এখানে কোট করছি পড়লেই বুঝা যাবে যাকাত যে শুধুই অর্থ নয়। সূরা মুজাদালাহ ৫৮:১৩# “তোমরা কি কানকথা বলার পূর্বে সদকা প্রদান করতে ভীত হয়ে গেলে? অতঃপর তোমরা যখন সদকা দিতে পারলে না এবং আল্লাহ তোমাদেরকে মাফ করে দিলেন তখন তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর”।

আমরা সকরেই জানি সদকা সামান্য টাকা এমনকি পয়সা কোন নির্ধারিত পরিমান নয়। হাদিসে বর্ণিত মালের যাকাত তো ৪০ ভাগের এক ভাগ বা শতকরা ২.৫ শতাংশ। ভুল বুঝবেন না। উক্ত আয়াতে আল্লাহ কি বললেন তোমরা সদকা দিতে পাররে না। তখন যাকাত দাও। আমি গরিবের উপর কি আল্লাহ জুলুমের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছেন! তা মোটেই না। আল্লাহ সহ্যের অতিরিক্ত কষ্ট দেন না। উক্ত আয়াতে যে যাকাতের কথা বলা হয়েছে সেটা কোন ক্রমেই টাকা হতেই পারে না।
আমার সংস্কারের কথা বলার হক থাকলে অবৈধ উপার্জনকারীদের জন্য যাকাত/ফেতরা দেওয়া নিষেধ করতাম এবং যাকাত প্রদানের আগে যাকাত প্রদানকারী ব্যক্তি থেকে হালাল রুজির স্বীকারোক্তি নামা জমা দিতে বলতাম।এই দিকে চিন্তা তো করেই না কেউ। যাকাত প্রদানকারীরা মনে করে অবৈধ টাকার ভাগ ২.৫% হিসাবে আল্লাহর নামে দিয়ে বৈধ করা যাবে এতে মনে হয় আল্লাহও অবৈধ টাকা গ্রহন করবেন। (নাউজুবিল্লাহ)

৫ নং হজ্ব: অর্থবানেদের জন্য হজ্জ করা ফরজ। বিশেষ করে সরকারী চাকুরীজীবি হজ্জ পালকারীদের কয়জনে অবৈধ টাকা ছাড়া হজ্জ করতে পারেন। আপনার নিজের মনকে জিজ্ঞাসা করবেন। রোযার মাস শেষ হলেই অনেক অফিসারই হজ্জে যাওয়া তৈরী করেন। বড় বড় স্যারদের এসিসেট্যান্টদের কাছে ফাইল নিয়ে গেলে স্যারদের প্রতি সদয় হয়ে এসিসেট্যান্টরা বলেন ফাইল নড়বে তবে স্যার কিন্তু এইবার হজ্জে যাবেন স্যারের খরচ আছে অনেক। হজ্জের ময়দানেও এই অবৈধ টাকা দিয়ে হজ্জ করা নিষেধ এটাও মানা করেন না। মানুষ তার নিত্যদিনের শয়তান সাথীকে সঙ্গে রেখে যখন ছোট, মাঝারি, বড় শয়তানের দিকে কঙ্কর নিক্ষেপ করে; সাথে থাকা শয়তানটা কতই না পুলকিত হয়। দোয়া পড়ে ছোট ছোট কঙ্করগুলি নিজের গায়ে মারা হতো তাতেও শয়তান বিতারিত হওয়ার কিছু সম্ভাবনা থাকতো। যদি হাজী সাহেবগন হজ্জ থেকে ফিরে এসে সে কথা মনে রাখেন। বিজ্ঞ ফতোয়াবাজগন যদি প্রতিবারই এই কথাটা বলে সতর্ক করেন যে “অবৈধ উপার্জনকারীরা হজ্জে আসবেন না।” তবে, অন্তত প্রতি লাখে এক জন হলেও অবৈধ রোজগার থেকে বিরত থাকতো। কোন আলেমের কাছে এটা বলার আশা ছেড়েই দিয়েছি। কিন্তু আশায় রয়েছি তবে মানুষের কাছে নয়। আল্লাহর পক্ষ থেকে কত চমৎকারই দেখি! হজ্জের রছম কোরবানীর কোন পশু যদি বলে উঠে হালাল টাকা ছাড়া আমায় কিনবেন না এবং ছুরি চালাবেন না আমার গলায়। তখন যদি ভয়ে নিবৃত হয় কিছু মানুষ।


এনবি:- কেউ কেউ মনে করে আমি হালাল টাকা দিয়েই ইসলামের কাজ গুলি করবো। অবৈধ টাকা অন্য কাজে ব্যবহার করবো। এখানে একটা কথা উল্লেখ করা প্রয়োজন। যেমন আপনার পাচ কেজি খাটি দুধের সাথে আমার পানি মিশ্রীত এক কেজি দুধ মিলালে যেমন পুরো ৬ কেজি দুধটুকুর সাথেই পানি মিশ্রীত হয়ে যাবে। ঠিক সেরকম আপনার হালাল টাকার সাথে যখন অবৈধ্ আয় (টাকা) মিলে যায় তখন সমস্ত টাকাই অবৈধ টাকায় পরিনত নয়। সেই ৬ কেজি দুধের মত। কাজেই কেউ যদি মনে করে আমি আমার হালাল টাকা দিয়েই দান করছি, রোযার ইফতার করছি, যাকাত দিচ্ছি, কোরবানী এবং হ্জ্জ করছি সেটা কোন ক্রমেই সম্ভব নয়। যেহেতু অবৈধ রোজগার টাকা দিয়ে তার অন্য প্রয়োজন মিটানো হচ্ছে।

Wednesday, February 25, 2015

আল্লাহর হুকুম সালাত কায়েম বা আদায় করার

প্রয়োজনে
0196 356 4505
ফকির উয়ায়ছী:

প্রথমেই জানা দরকার কায়েম অর্থটি তারপর জানা দরকার কিভাবে কায়েম হবে?
কায়েম শব্দটি অভিধানিক বাংলা অর্থ হচ্ছে- অবিরত, প্রতিষ্ঠিত, খাড়া, এবং সর্বদা। আপনি আরবী হইতে বাংলা অভিধানটি ‍খুললেই আমার সাথে দ্বিমত করার কোন সুযোগ পাবেন না। আমাদের আলেম সাহেবগন মাদ্রসার শিশুদের ছোট বেলা থেকে শিক্ষা দিয়ে আসছেন ৫ ওয়াক্ত নামায জামাতের সহিত পড়াই হলো কায়েম করা। নিজে পড়া এবং সবাইকে নিয়ে জামাতে পরার নামই কায়েম করা। হাঁয়রে কপাল! আল্লাহ পবিত্র কোরআনের একাধিক বারই বলেছেন যার যার বোঝা তাকেই বহন করতে হবে। তবে জামাতে নামায আদায় করলেই কায়েম হবে কি করে? কায়েম শব্দটি যেহেত অবিরত সেহেতু আপনার নামাযের সাথে তো আমার নামায শুরুও হয় না শেষও হয় না। যে ওয়াক্তে আমি বাড়িতে থাকি তবে তো আপনাদের নামায কায়েম হয় না যেহেতু আমাকে সামিল করতে পারেন নাই। আর যার যার কায়েমী নামায যদি তার তার হয় তবেই সেটা কায়েম করা সম্ভব। কারণ আল্লাহ বলেছেন জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সালাত(উপাশনা/স্মরণ) কায়েম করতে। আমরা একসাথে জন্মাইও না মরবোও না। আমি শুধু একটা কথাই বলতে চাই কায়েম যার যার তার তার যেমন আল্লাহ কোরআনে বলেছেন যার যার বুঝা তার তার। কায়েম কিভাবে হয় সেটা আমি আলোচনা করবো তার আগে একটি গল্প।

আমাদের এলাকার এক মসজিদের সেক্রেটারী জুম্মার নামাজের জন্য খতিব খুজচ্ছেন এবং প্রতি জুম্মায় ইন্টার্ভিউও নিচ্ছেন এমনিতেই কয়েক মাস পার করে দিলেন। তার চোখে ভাল খতিব পরছে না, তাই খতিব নির্ধারন করতে পারছেন না। জানতে চাওয়া হল খতিবের ইন্টার্ভিউ কে নিবে। জবাবে, তিনি বললেন আমরাই নিবো। আপনি কি আরবীর ভাল জ্ঞান রাখেন? বললেন আমি আরবী জানি না, তবে শুনলেই বুঝতে পারবো! গ্রামে একটা কথা প্রচলন আছে শুটকির নৌকা বিড়াল চৌকিদার। এই হলো আমাদের দুর্ভাগ্য। আর যাদের নিয়োগ দেওয়া হয় তারা শুধু ফটর ফটর আরবী বলে যান তারা অর্থ কিছু বলতে পারেন না। এই জন্যই নামাজ কায়েম করার এই অবস্থা। আল্লাহ পবিত্র কোরআনে সূরা মরিয়াম এর ১৯:৩১ নং আয়াতে সালাত কায়েম করতে বলেছেন জন্ম হইতে মৃত্যুর আগ মুহুর্ত পর্যন্ত অবিরতভাবে, নির্বিছিন্ন, বিরতিহীন ভাবে। কই আমরা তা করছি? মনে করেন কেউ এশার নামায আদায় করতে লাগে ১৫,২০,২৫ মিনিট বৃদ্ধ মানুষের বেশীর মধ্যে ৩০ মিনিট তাহলে কিভাবে সমতা হয়। আমি সাধারন ভাবে আলোচনার মাধ্যমে কায়েম শব্দটি ব্যাখ্যা করে বুঝাতে চাই।

১/ একটি শিশু মাতৃগর্ভে ৯ মাস ১০দিন কায়েম থাকার পর ভুমিষ্ট হয়। শিশুটি কিন্তু সব সময়ের জন্যই মায়ের পেটেই থাকে সে কিন্তু মাঝে মাঝে বের হয় না বাচ্চাটি স্থায়ী সেখানে। ২/ সরকারী অফিস টাইম সকাল ৯টা হতে ৫টা এই সময়টুকু সরকারী চাকুরীজীবিদের জন্য কায়েমী সময়। সরকারী কর্মচারীদের জন্য ঐ অফিস সময়টা অন্য কোন কাজ করা বৈধ নয় পিয়ন থেকে শুরু করে উর্ধতন কর্মকর্তা পর্যন্ত।

১৯:৩১ নং আয়াতে আল্লাহর কায়েমী সময়টা হচ্ছে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত। আল্লাহ কোরআনে যেখানেই নামায় কায়েম করার কথা বলেছেন সাথে যাকাতের কথাও বলেছেন। তবে একটি কথা আল্লাহর সালাত যারা কায়েম করে তারা সাথে সাথে যাকাতও আদায় করেন। কারণ আকিমুস সালাত আর ওয়াতুস যাকাত ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই সালাতের জন্য আল্লাহ কোন ওযু গোশলের কোন শর্ত দেন নাই। কিন্তু ওয়াক্তিয়া সালাতের পূর্বে আল্লাহ ওযু গোশলের কথা বলেছেন। যা কিনা সূরা মায়িদার ৫:৬ নং আয়াতটি দেখলেই আপনি পরিষ্কার হতে পারবেন। নিজ জ্ঞানে বিচার করে বুঝের জন্য কোরআনের আয়াত গুলি দেখার অনুরোধ করছি আপনাদের জন্য নিচে আয়াতগুলি উল্লেখ করছি। দুইটি আয়াত পড়ে সহজেই বুঝা যায় নামায পড়া আর কায়েম করা এক জিনিষ নয়।

১৯:৩১ # ‘আমি যেখানেই থাকি, তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন। তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, যতদিন জীবিত থাকি, ততদিন নামায কায়েম ও যাকাত আদায় করতে।’

৫:৬ # ‘হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাযের জন্যে উঠ, তখন স্বীয় মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত ধৌত কর এবং পদযুগল গিটসহ। যদি তোমরা অপবিত্র হও তবে সারা দেহ পবিত্র করে নাও এবং যদি তোমরা রুগ্ন হও, অথবা প্রবাসে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রসাব-পায়খানা সেরে আসে অথবা তোমরা স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর, অতঃপর পানি না পাও, তবে তোমরা পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-অর্থাৎ, স্বীয় মুখ-মন্ডল ও হস্তদ্বয় মাটি দ্বারা মুছে ফেল। আল্লাহ তোমাদেরকে অসুবিধায় ফেলতে চান না।

আসলে সালাত (নামাজ) পড়ার মত কোন বিষয়ই নয়। এটা কোন কিতাব নয় এমনকি পরিধেয় বস্ত্রও নয় যে প্রচলিত শব্দ ‘পড়বে/পরবে’ ব্যবহার করা যাবে। সালাত (নামাজ)আদায় করতে হবে নয়তো কায়েম (খাড়া) করতে হবে। সালাত অর্থ তো স্মরণ বা উপাসনা। সূরা নিসার এবং আল ইমরানের দুটি আয়াত

৪:১০৩# যখন তোমরা নামায সম্পন্ন কর, তখন দন্ডায়মান, উপবিষ্ট ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ কর। ৩:১৯১# যাঁরা দাঁড়িয়ে, বসে, ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং চিন্তা গবেষণা করে আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষযে, (তারা বলে) পরওয়ারদেগার! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। এই আয়াত দুটির দিকে খেয়াল করলেও বুঝা যায় সালাতের আলাদা আলাদা প্রকার ভেদ।
কায়েম শব্দের অর্থ যেহেতু অবধারিত। আল্লাহ প্রদত্ত কায়েমী কিছু বর্জন করার সাধ্য কার আছে? আল্লাহ বৃষ্টি না দিলে কেউ কি বৃষ্টি নামাতে পারবেন? এমনকি আল্লাহ তিনদিন যাবৎ অবিরত বৃষ্টি দিলে কেউ থামাতেও পারে না! আল্লাহ প্রদত্ত কায়েমী কোন কিছু বর্জন করার উপায় নাই। তা আমরা সূরা হজ্জ এর ২২:১৮ নং ‘তুমি কি দেখনি ইচ্ছায় এবং অনিচ্ছায়, আল্লাহকে সেজদা করে যা কিছু আছে নভোমন্ডলে, যা কিছু আছে ভুমন্ডলে, সূর্য, চন্দ্র, তারকারাজি পর্বতরাজি বৃক্ষলতা, জীবজন্তু এবং কিছু সংখ্যক মানুষ।’

এই আয়াতে স্পষ্ট আছে আল্লাহর হুকুম ইচ্ছায় অনিচ্ছায় পালন না করার কোন উপায় নাই। কিন্তু উক্ত আয়াতটিতে আল্লাহ এও বলছেন কিছু সংখ্যক মানুষ সব মানুষের কথা বলেন নাই। এতে আমি বুঝতে পারছি সব সৃষ্টিই বস্যতাস্বীকার করছে। মানুষের মধ্যে যারা বুঝে করছে তারা মানুষের অন্তর্গত আর যারা না বুঝে করছে তারা মানুষের অন্তর্গত নয়। আমার কথায় রেগে আফসোস করবেন না যে কেন কষ্ট করে পড়লাম। আমি মন গড়া কথা বলছি না। সূরা আনামের ৬:৩৮# ‘আর যত প্রকার প্রাণী পৃথিবীতে বিচরণশীল রয়েছে এবং যত প্রকার পাখী দু’ ডানাযোগে উড়ে বেড়ায় তারা সবাই তোমাদের মতই এক একটি  উম্মত(জাতি)।’ অবলা প্রানী জগৎ থেকে যারা নিজেদের আলাদা করতে পেরেছেন। তারাই কায়েমী নামাযের সন্ধান পেয়েছেন।

মুসলমানদের মধ্যে শরিয়তের আলেমগন বলেন সকলকে নিয়ে জামাতে নামাজ আদায় করাই কায়েম করা। এটা যে সঠিক নয় উপরের আলোচনায় বুঝাতে চেষ্টা করেছি। আর একদল আছেন মারেফতের অনুসারী তারা বলেন যার যার ওলিল আমর অর্থাৎ পির। পিরের চেহারা ধ্যান করার নামই স্মরণ। যেটা একেবারেই কোরআন বিরোধী কাজ কুফরী শেরেকি গুনাহ। আল্লাহর সমকক্ষ দাড় করানোকারীদের আল্লাহ ক্ষমা করবেন না।

কায়েমী নামাজ সঠিক হওয়ার জন্য বায়াত হওয়াও জরুরী এটাও রাছুল সা. এর হাদীস থেকে পাওয়া যায়। হাদিসটি বুখারী শরীফের থেকে উল্লেখ করছি নিম্নে। ইসলামি ফাউন্ডেশন হইতে প্রকাশিত বুখারী শরীফ থেকে গৃহীত ৪৯৯ নং উল্লেখ আছে ‘মুহাম্মদ ইবনুল মুছান্না (র.) জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ এর নিকট সালাত আদায়, যাকাত প্রদান এবং প্রত্যেক মুসলমানকে নসীহত করার জন্য বায়আত গ্রহন করেছি।’

আপনাদের কাছে আকুল আবেদন রইল যেভাবে সালাত কায়েম হয় সে রাস্তা খুজে বের করুন যে জানেন তার কাছে যাওয়াও আল্লাহরই হুকুম।-২১:৭ আয়াত।

Tuesday, February 24, 2015

ইসলামের সঠিক শিক্ষা গ্রহন করাই জরুরী

প্রয়োজনে
0196 356 4505
ফকির উয়ায়ছী:

মুসলমান ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে মতপার্থক্য কারণ আছে। ইসলাম অনুসরণকারী কিছু মানুষ আছে শরিয়ত পন্থি কিছু মানুষ আছে মারেফত পন্থি। যদিও এই দুটি পথই ইসলামের জন্য সঠিক। কোরআনে মধ্যেই আল্লাহ উল্লেখ করেছেন কিছু আয়াত আছে জাহেরী কিছু আছে বাতেনী। জাহেরী অর্থাৎ দৃশ্যমান এবং বাতেনী অর্থাৎ গুপ্ত। অধিকাংশ লোক সকল সহজেই বুঝতে পারেন। জাহেরী যেটা দেখা যায় সেটা হচ্ছে শরিয়ত আর বাতেনী গুপ্ত সেটা হচ্ছে মারেফত। কিন্তু যেহেতু গুপ্ত ব্যপ্ত উভয়ই আল্লাহর রাছুল সা. এরই শিক্ষা একটার সাথে অন্যটার বিভেদ হওয়ার কোন কারণ নাই। শরিয়ত যেমন কোরআনের জ্ঞান ঠিক তেমনি মারেফতও কোরআনেরই জ্ঞান। যারা শরিয়ত এবং মারেফতের মধ্যে মতভেদ সৃষ্টি করে তারা অজ্ঞতা বশতই করে। প্রসিদ্ধ হাদিসের কিতাব ‘মুয়াত্তা মালিক’ এর প্রনেতা হযরত ইমাম মালেক রাহ. শরিয়ত এবং মারেফত জ্ঞান সম্পর্কে বলেছেন “যে ব্যক্তি ইলমে শরিয়তের জ্ঞান হাসিল করলো কিন্তু মারেফত পরিত্যাজ্ঞ করলো সে ফাসেক। আর যে ব্যক্তি ইলমে মারেফতের জ্ঞান হাসিল করলো কিন্তু শরিয়ত মানলো না সে জিন্দিক(কাফের)। উভয় জ্ঞানে জ্ঞানীরাই হচ্ছে প্রকৃত আলেম”। একটা কথা মনে রাখা দরকার কোরআন অনুযায়ী ফাসেক এবং কাফের উভয়ই আল্লাহর কাছে অপছন্দনীয়।
ভারত উপমহাদেশে আল্লাহ কোন নবী প্রেরণ করেন নাই। রাছুল সা. এর প্রতিষ্ঠিত ইসলাম ওলি আউলিয়া পির ফকিরগনদের মাধ্যেই বিস্তার লাভ করেছে। এ কথা কেউই অস্বীকার করার কোন উপায় নাই। বর্তমানে সকল মুসলিম প্রধান দেশেই শরিয়তের শিক্ষার জন্য নানান রকম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা হওয়াতে সমাজে স্বীকৃতি আছে শরিয়তের জ্ঞানীদের। এই বলে কি ওলি আউলিয়া পির ফকিরদের ইসলাম প্রচার অবদানের কথা ভুলে গেলে চলবে! এদেশে ইসলাম যাদের মা্ধম্যে বিস্তার লাভ করেছে তাদের যদি আমরা ভুলে যাই অস্বীকার করি সেটা তো অন্যায় হবে। মানুষ যতই অকৃতজ্ঞ হোউক আল্লাহ কিন্তু তার ওলিদের ব্যপারে পবিত্র কোরআনে আস্বস্ত করেছেন। 

সূরা ইউনুস এর ৬২ নং আয়াত “আলা ইন্না আওলিয়া- আল্লা-হি লা খওফুন আলাইহিম্ অলা-হুম ইয়াহযানূন”। অর্থ: ‘সাবধান! নিশ্চয়ই আল্লাহর বন্ধুদের কোন ভয় নেই আর তারা দু:থিতও হবে না’। আল্লাহ তাঁর ওলিদের সম্পর্কে আরো 

আয়াতে বলেছেন সূরা বাকারার ২:১৫৪# “যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদের মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বুঝ না”। এবং সূরা আল ইমরানের ৩:১৬৯# “যারা আল্লাহর রাহে নিহত হয়, তাদেরকে তুমি কখনো মৃত মনে করো না। বরং তারা নিজেদের পালনকর্তার নিকট জীবিত ও জীবিকাপ্রাপ্ত”। এই আয়াত গুলি থাকার পরও যদি ওলি আউলিয়াদের যারা গালাগালি করবেন তারা আল্লাহর রৌশানল থেকে কোন দিনও রেহাই পাবেন না। ওলি ফকিরদের সম্পর্কে রাছুল সা. বলেছেন ‘ফকিরি আমার গর্ভ’ ‘ফকির আমার ভেদ আমি ফকিরের ভেদ’। সকলের কাছে অনুরোধ প্রকৃত ওলি ফকিরদের গালাগালি করে নিজেদের আখেরাত নষ্ট করবেন না। শরিয়তে মানুষ দলে ভারী হলেও আল্লাহর দরবারে এই দল কোন কাজে আসবে না। আল্লাহ যার যার হিসাব তার তার কাছ থেকেই নিবেন। আর এই দলে ভারীদের ব্যপারে আল্লাহ সূরা আনআম ৬:১১৬# “আর যদি আপনি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের কথা মেনে নেন, তবে তারা আপনাকে আল্লাহর পথ থেকে বিপথগামী করে দেবে। তারা শুধু অলীক কল্পনার অনুসরণ করে এবং সম্পূর্ণ অনুমান ভিত্তিক কথাবার্তা বলে থাকে”। অনেকে মনে করতে পারেন এই আয়াত শুধু রাছুল সা. এর জন্যই বলা হয়েছিল। সেটা সঠিক হবে না। কারণ সম্পূর্ণ কোরআন কিয়ামত পর্যন্ত উম্মতে মুহাম্মদির জন্যই পথের দিশা।


মারেফতের পির সাহেবগন কোরআন বিরোধী শিক্ষা প্রদানের জন্য অনুসারীরা আল্লাহ রাছুল সা. এর পথ থেকে বিচুত হয়ে লোক সকল এমন সব কর্মে জড়িয়ে পরেন সেটা শরিয়তের দৃষ্টি কোন থেকে কোন ভাবেই মানা যায় না। এই কারণেই শরিয়তের আলেম সাহেবগন তাদের ওয়াজ মাহফিল বক্তিতা এমনকি ধর্মিও আলোচনায় বসলেই আলোচনার অধিকাংশ সময় জুড়েই আলেম সাহেবগন পির ফকিরদের গীবত করা শুরু করেন। এই গীবতে যে তাদের আমলও নষ্ট হয়ে যায় সেদিকে তাদের খেয়াল থাকে না। সে আলোচনা যখনই কোন মারেফতের অনুসারীদের কানে পৌচ্ছে মারেফতের অনুসারীরাও শরিয়তের আলেমগনদেরও পাল্টা গালাগাল শুরু করেন। গীবত করা তো আল্লাহ রাছুল সা. ইসলামের শিক্ষায় নাই। তবে কোন শিক্ষা থেকে এই গীবত করা হয়। আমাদের মুসলমান ধর্মের মত এত হানাহানি, দলবাজি, গলাবাজি অন্য কোন ধর্মে নিজেদের মধ্যে হয় না। হিন্দুরা বা খৃষ্ঠানরা নিজেরা নিজেদের গালি দিতে দেখা যায় না অন্তত্য ধর্মিও ব্যপারে। এত দলাদলি ছেড়ে কেন আমরা আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী মুসলমান হতে চেষ্টা করি না?

Visitors